ওয়েব ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের (Middle East Conflict) জটিল পরিস্থিতিতে অবশেষে ভোল বদল করল আমেরিকা (USA)। মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও (Marco Rubio) ঘোষণা করেছেন, কাতার (Qatar) ও পার্শ্ববর্তী দেশে হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে আর আক্রমণ চালাবে না ইজরায়েল (Israel)। এই ঘোষণার মাধ্যমে আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও সহযোগিতার বার্তা দিতে চাইছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।
সম্প্রতি মার্কো রুবিও ইজরায়েল সফরে যান এবং ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu) সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “যেকোনও দেশের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে, তবে এই অধিকার ব্যবহার করতে গিয়ে অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব যেন ক্ষুণ্ণ না হয়।” একই সঙ্গে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে শান্তির বার্তা নেতানিয়াহুর কাছে পৌঁছে দেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পবিরোধী প্রচার, নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে দায়ের মানহানির মামলা
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা বৃদ্ধির পিছনে সম্প্রতি কাতারে চালানো ড্রোন হামলা চালায় ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স। এর পর আইডিএফ দাবি করেছিল, কাতারের বিভিন্ন স্থানে হামাস নেতারা গা ঢাকা দিয়ে থেকে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তবে কাতারের সঙ্গে আমেরিকার দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে এই ধরনের আক্রমণ বাড়তি উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও জানিয়েছেন, ইজরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করতে আমেরিকা যৌথভাবে কাজ করলেও এই ধরনের অভিযান যেন অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ট্রাম্প কাতারকে আশ্বস্ত করেছেন যে, ইজরায়েলের পক্ষ থেকে এ ধরনের আক্রমণের পুনরাবৃত্তি আর হবে না।
এই অবস্থায় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক অটুট রাখতে ফের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ড্যামেজ কন্ট্রোলের পথে হাঁটছে ট্রাম্প প্রশাসন। বর্তমানে আমেরিকা এবং ইজরায়েল উভয়েই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইলেও কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
দেখুন আরও খবর: